ফ্ললেস স্কিনে এনলার্জ পোরস কি বাধা?

147

একটি ন্যাচারাল হেলদি লুকিং ফেস কে না চায়। কিন্তু এই চাওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বাধা আসে। ওপেন পোরস তার মধ্যে একটি। পোরস নিয়ে মানুষের কনফিউশনের অভাব নেই। কেন ফেস এ পোরস থাকে, কি কাজ এই পোরস এর, এগুলো পার্মানেন্টলি রিমুভ করার উপায় কি সহ আরো কত প্রশ্ন। কিন্তু আসলে পোরস খুব ন্যাচারাল একটি জিনিস। বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু মুখের স্কিনেই ২০ হাজারের মতো পোরস থাকে, সারা শরীরে তো থাকেই।

আজকের ব্লগে পোরস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোরস কি

ত্বকের সেবিসিয়াস গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন তেল নিষ্কাশনের জন্য ত্বকের উপরের স্তরে যে ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি হয় তাকে পোরস বলে।

পোরসের কাজ হল ত্বকের শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করা এবং ত্বকের ঘাম, তেল এগুলো বের করে দেয়া। পোরস ত্বকের জলীয় ভাব ধরে রেখে ত্বককে ঠান্ডা রাখে। তাই আপাত দৃষ্টিতে পোরসকে একটি স্কিন প্রবলেম বলে মনে হলেও স্কিনের জন্য এটি যথেষ্ট উপকারী ও প্রয়োজনীয়।

পোরস এর ধরন

১। ওপেন পোরস

ওপেন পোরস বড় হয় এবং ত্বকের উপর এদের ভিজিবিলিটি বেশি হয়ে থাকে।

২। ক্লোসড পোরস

এই পোরসগুলো ছোট এবং ত্বকের উপর এদের ভিজিবিলিটি কম হয়।

৩। সেমি ক্লোসড পোরস

এই ধরনের পোরসের উপর থেকে মুখ খোলা কিন্তু ভেতর থেকে মুখ বন্ধ থাকে। ‌

পোরসের আকার বৃদ্ধির কারণ

১। পোরসের এর আকার অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণে বড় হয়।

২। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং পোরস বড় হয়ে যায়।

৩। সূর্যের তাপে বেশি সময় থাকলে অতি বেগুনী রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করার পাশাপাশি পোর গুলোকে বড় করে তুলতে পারে।

৪। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে পোরগুলো বড় হয়ে যায়।

৫। অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, ধূমপান ইত্যাদি কারণ পোরস বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

এনলার্জ পোরসের কারণে স্কিনে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন;

১। পোরস বড় হলে তার ভেতর ময়লা জমে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়।

২। বড় পোরসের কারণে স্কিনের টেক্সচার নষ্ট হয়ে যায় এবং স্কিন রুক্ষ দেখায়।

৩। পোরসের আকার বড় হলে ময়লা জমে অনেক সময় কালো দাগের সৃষ্টি হয়।

 

এই সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে। কিছু নিয়ম মেনে স্কিনের টেক কেয়ার করলে পোর মিনিমাইজ করা সম্ভব। যেমন ;

  • দিনে দুইবার একটি ভালো ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে মুখের ধুলো-ময়লা ও এক্সেস অয়েল রিমুভ হবে। ধুলো-বালি ও অতিরিক্ত অয়েল দুটোই এনলার্জ পোরসের জন্য দায়ী।
  • স্কিন ক্লিন রাখতে রেগুলার ডেড সেল রিমুভ করা জরুরী। স্কিনের ডেড সেল রিমুভ করতে সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাবার দিয়ে ফেস স্ক্রাব করতে হবে।
  • টোনার অথবা রোজ ওয়াটার এর ব্যবহারও পোরস কমাতে হেল্প করে।

 

এছাড়া ঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়েও খুব সহজেই এনলার্জ পোরস মিনিমাইজ করা যায়।

42281

অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা জেল এনলার্জ পোরস কমাতে অনেক বেশি কার্যকর। সপ্তাহে ৩-৪ বার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং দশ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে স্কিন হাইড্রেট থাকার পাশাপাশি পোরসের আকার ছোট হতে থাকবে।

2148774886

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি রোজ ওয়াটার এর সাথে মিলিয়ে সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে লাগালে তা পোর মিনিমাইজেশনে অনেক ইফেক্টিভলি কাজ করে। উপকরণ দুটি মিশিয়ে মুখে লাগান, শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

composition with cider apples wooden 1

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

পরিষ্কার পানির সাথে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে মুখে লাগালে তা টোনার হিসেবে কাজ করে। মিশ্রণটির মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি পোর মিনিমাইজ করতে অনেক হেল্পফুল।

1205

কলার খোসা

পোরস কমাতে আরেকটি হেল্পফুল জিনিস হলো কলার খোসা। কলা খেয়ে খোসা এখন থেকে আর ডাস্টবিনে ফেলবেন না। এই খোসা আলতোভাবে মুখে ঘষে নিন। এর কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

15750

বরফ

মুখ ধোয়ার পর হালকাভাবে বরফ মুখে ম্যাসাজ করলে তা পোর মিনিমাইজ করতে হেল্প করে।

 

আজকের ব্লগে পোরস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করি পোরস নিয়ে আর কোন কনফিউশন থাকবে না। স্কিনকে হেলদি ও ফ্ললেস রাখতে বাজারে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট এভেইলেবেল আছে। অনলাইনে অথেনটিক সব প্রোডাক্ট কিনতে ভিজিট করুন আমাদের শপ এ।

Recent Posts