ত্বকের যত্নে এসেনশিয়াল অয়েল

01

দ্রুতগতির এই জীবনে আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বাজারে প্রচুর রাসায়নিক পদার্থযুক্ত প্রসাধনী পাওয়া গেলেও, অনেকেই চান কিছুটা প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে। আর এই চাওয়া থেকেই স্কিন কেয়ারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসেনশিয়াল অয়েল (Essential Oil)। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া এসেনশিয়াল অয়েল এর গুনে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমে আসে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই।

অনেকে এই এসেনশিয়াল অয়েল এর কার্যকারিতা বা বেনিফিটস নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন। তাহলে আসুন আজকে জেনে নেয়া যাক স্কিন কেয়ারে বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েলের বেনিফিটস সম্পর্কে।

এসেনশিয়াল অয়েল কি?

উপকারী এবং সুগন্ধিযুক্ত কিছু উদ্ভিদ, গাছের বাকল, পাতা ও ফুল এর নির্যাস থেকে সংগ্রহ করা তেল বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধ করে তৈরি করা হয় এসেনশিয়াল অয়েল।

 

ত্বকের জন্য বেনেফিশিয়াল পাঁচটি এসেনশিয়াল অয়েল

 

১। টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Essential Oil)

02

টি ট্রি অয়েলের বেনিফিটস এর জন্য ফেসওয়াশ থেকে শুরু করে টোনার সবকিছুতেই এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই তেলে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের জন্য বেনেফিশিয়াল। এটি একনি, মুখের দাগ-ছোপ, লালভাব ও চুলকানি কমায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তেলটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

 

২। ল্যাভেন্ডার অয়েল (Lavender Essential Oil)

03

ত্বক ও চুলের যত্নে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার বহু মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। অনেকের মুখের ত্বকের পোরগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ত্বক অনেকটা কমলা লেবুর খোসার মতো দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় ল্যাভেন্ডার অয়েলে। আবার ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতেও এই অয়েল বেশ কার্যকরী।

 

৩। রোজ এসেনশিয়াল অয়েল (Rose Essential Oil)

04

গোলাপের পাপড়ির নির্যাস থেকে তৈরি রোজ এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের হারানো গ্লো ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুন ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

৪। স্যান্ডেলউড এসেনশিয়াল অয়েল (Sandelwood Essential Oil)

05

স্যান্ডেলউড এর সুগন্ধের জন্য এই এসেনশিয়াল অয়েলকে আয়ুর্বেদিক হিলিং প্র্যাকটিসে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সময়ের আগে মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

 

৫। পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল (Peppermint Essential Oil)

06
স্কিনকে রিফ্রেশ এবং কুলিং ইফেক্ট দিতে পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলটি অনেক কার্যকরী। স্কিনে চুলকানির সমস্যা থাকলে, তা অনেকাংশে কমিয়ে আনে। চুলের যত্নেও এই তেলটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

 

অবসাদ ও ঘুমের সমস্যা দূর করতে যুগ যুগ ধরে এসব এসেনশিয়াল অয়েল অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আসলে এদের গুনাগুন বলে শেষ করার মত নয়। তবে স্কিনে এসেনশিয়াল অয়েল ডিরেক্ট এপ্লাই করা উচিত না। কারণ ডিরেক্ট এপ্লাই এর ক্ষেত্রে অনেক সময় ইরিটেশনসহ বিভিন্ন প্রবলেম দেখা দিতে পারে। কোনো ফেসপ্যাক এর সাথে নিজেদের স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী ২-৩ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন।

নিজেদের স্কিনের প্রোপার টেক কেয়ার করতে, অথেনটিক সব স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পেতে ভিজিট করুন আমাদের শপ  এ।

 

 

লিখেছেন আফরোজ জান্নাত হৃদিতা

Recent Posts