স্কিন কেয়ার পেজগুলোর কমেন্ট সেকশনে প্রায় যে কমন একটি প্রবলেম নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, সেটি হল ব্ল্যাকহেডস। আমাদের লোমকূপ থেকে স্বাভাবিকভাবেই তেল নিঃসরণ হয় আর এই তেল যখনই ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয় না তখনই বাইরের ধুলাবালি জমে তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস। ব্ল্যাকহেডস এর প্রবণতা বেশি থাকে তৈলাক্ত ত্বকে। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ গুলো বেশি কার্যকর থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার এবং ব্যবহারের পর স্কিন প্রপারলি ক্লিন না করলে ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা হতে পারে।
আবার অনেকের শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে ব্ল্যাকহেডস এর প্রবলেম দেখা দেয়। মূলত ব্ল্যাকহেডস স্কিনের এমন একটি প্রবলেম যা সহজে দূর করা গেলেও নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক পরামর্শ মেনে না চললে বারবার ফিরে আসে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় খুব সহজেই। আজকের ব্লগে এরকম পাঁচটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
১। ডিমের সাদা অংশ ও মধু
ডিমের সাদা অংশ ও মধু, দুটি উপাদানই আমাদের স্কিনের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ডিমের সাদা অংশে আছে ভিটামিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের ত্বককে নানা ভাবে বেনিফিটেড করে। এক চামচ মধুর সাথে ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি রেগুলার ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হবে।
এছাড়াও শুধু ডিমের সাদা অংশ দিয়েও ব্ল্যাকহেডস কমানো সম্ভব। সাদা অংশটি ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর টিস্যু পেপার ডিম এ ডুবিয়ে ফেস এর যেখানে যেখানে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন। মাস্কটি শুকিয়ে গেলে টিস্যুগুলো তুলে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
২। ওটস ও টক দই
স্টাবিং করতে ওটস অনেক বেশি কার্যকরী, আর অন্যদিকে ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে টক দইয়ের কোন জুড়ি নেই।
প্যাকটি বানানোর জন্য ৪ চিস ওটস নিন আর টক দই নিন ২ চামচ। উপকরণ দুটি একসাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে সেখানে পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
৩। হলুদ ও চন্দন
ব্রণের সমস্যা দূর করতে যেমন হলুদের কোন তুলনা হয় না তেমনি ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা সমাধানেও হলুদ অনেক বেশি কার্যকরী। প্যাক বানাতে এক চামচ টক দই নিন, এতে এক চামচ হলুদ গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা চন্দন তেল বা এক চামচ চন্দন গুঁড়া এ্যাড করুন। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪। গোলাপ জল ও চালের গুঁড়া
চালের গুঁড়া স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। চালের গুঁড়া এক চামচ, গোলাপ জল দুই চামচ ও সামান্য লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন। এরপর মুখে লাগিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫। সুজি
ব্ল্যাকহেডস কমাতে সুজি কতটা কার্যকরী তা প্রথম ব্যবহারেই বুঝতে পারবেন। প্রথমে এক চামচ সুজি নিয়ে তাতে এক চামচ মধু ও সামান্য পরিমাণ লেবুর রস এ্যাড করে নিন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এর ৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস অনেকটা কমে আসবে।
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস এর প্রবলেম থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও বাজারে অনেক ধরনের নোজ স্ট্রিপস ও স্ক্রাব পাওয়া যায়। দেখে শুনে ভালো প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে না। অনলাইনে অথেনটিক সব প্রোডাক্ট পেতে ভিজিট করুন shathimart.com এ।